পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত, এবং তীমথিয় ভ্রাতা,—করিন্থে ঈশ্বরের যে মণ্ডলী আছে, এবং সমস্ত আখায়া দেশে যে সকল পবিত্র লোক আছেন, তাঁহাদের সর্ব্বজন সমীপে।
তিনি আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমাদিগকে সান্ত্বনা করেন, যেন আমরা নিজে ঈশ্বরদত্ত যে সান্ত্বনায় সান্ত্বনাপ্রাপ্ত হই, সেই সান্ত্বনা দ্বারা সমস্ত ক্লেশের পাত্রদিগকে সান্ত্বনা করিতে পারি।
আর আমরা যদি ক্লেশ পাই, তবে তাহা তোমাদের সান্ত্বনার ও পরিত্রাণের নিমিত্ত; অথবা যদি সান্ত্বনা পাই, তবে তাহা তোমাদের সান্ত্বনার নিমিত্ত; সেই সান্ত্বনা সেই একই প্রকার ধৈর্য্যযুক্ত দুঃখভোগে কার্য্য সাধন করিতেছে, যে প্রকার দুঃখ আমরাও ভোগ করিতেছি।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, এশিয়ায় আমাদের যে ক্লেশ ঘটিয়াছিল, তোমরা যে সে বিষয় অজ্ঞাত থাক, ইহা আমাদের ইচ্ছা নয়; ফলতঃ আত্যন্তিক দুঃখভারে আমরা শক্তির অতিরিক্তরূপে ভারগ্রস্ত হইয়া পড়িয়াছিলাম; এমন কি, জীবনের আশাও ছাড়িয়া দিয়াছিলাম;
ইহাতে তোমরাও বিনতি দ্বারা আমাদের পক্ষে সাহায্য করিতেছ, যেন অনেকের দ্বারা যে অনুগ্রহ-দান আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে, তন্নিমিত্ত অনেক মুখ হইতে আমাদের পক্ষে ধন্যবাদ প্রদান করা হয়।
কারণ আমাদের শ্লাঘা এই, আমাদের সংবেদ সাক্ষ্য দিতেছে যে, ঈশ্বর-দত্ত পবিত্রতায় ও সরলতায়, মাংসিক বিজ্ঞতায় নয়, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহে, আমরা জগতের মধ্যে, এবং আরও বাহুল্যরূপে তোমাদের প্রতি আচরণ করিয়াছি;
আমরা ত আর কোন বিষয় তোমাদিগকে লিখিতেছি না, কেবল তাহাই লিখিতেছি, যাহা তোমরা পাঠ করিয়া থাক, অথবা স্বীকার করিয়া থাক, আর আশা করি, তোমরা শেষ পর্য্যন্ত তাহা স্বীকার করিবে।
বাস্তবিক তোমরা কতক পরিমাণে আমাদিগকে এই বলিয়া স্বীকার করিয়াছ যে, আমরা যেমন তোমাদের শ্লাঘার হেতু, আমাদের প্রভু যীশুর দিনে তোমরাও তেমনি আমাদের শ্লাঘার হেতু।
ভাল, এরূপ মানস করায় কি আমি চাঞ্চল্য প্রকাশ করিয়াছিলাম? অথবা আমি যে সকল মনস্থ করি, সে সকল মনস্থ কি মাংসের মতে করিয়া থাকি যে, আমার কাছে হাঁ হাঁ ও না না হইবে?
ফলতঃ ঈশ্বরের পুত্র যীশু খ্রীষ্ট, যিনি আমাদের দ্বারা, অর্থাৎ আমার ও সীলের ও তীমথিয়ের দ্বারা তোমাদের নিকটে প্রচারিত হইয়াছেন, তিনি ‘হাঁ’ আবার ‘না’ হন নাই, কিন্তু তাঁহাতেই ‘হাঁ’ হইয়াছে;